
বিপ্লব পাল, সিলেট অদ্য ১৪/০৯/২০২৫ খ্রিঃ বিকাল ১৫:০০ ঘটিকায় এসএমপি‘র পুলিশ লাইন্স হলরুমে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নবনিযুক্ত মান্যবর পুলিশ কমিশনার জনাব আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম, মহোদয়ের সভাপতিত্বে সিলেটের আবাসিক হোটেল মালিকগণের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় হোটেল মালিকগণ তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। পুলিশ কমিশনার মহোদয় সভায় উত্থাপিত সকল সমস্যা সমাধানে আশ্বাস প্রদান করেন। মতবিনিময় সভায় পুলিশ কমিশনার মহোদয় হোটেল মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শহরে আগত বর্ডারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি আধুনিক মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি জানান, এ অ্যাপসের মাধ্যমে বর্ডাররা রেজিস্ট্রেশন করে আগেভাগেই হোটেল বুকিং করতে পারবে। এতে হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত হবে এবং আগত ব্যক্তি নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের আওতায় থাকবে। তিনি বলেন, সিলেটে আগত পর্যটকরা অনেক সময় গাড়ি ভাড়া, চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো সমস্যার মুখোমুখি হন। হোটেল মালিকরা যদি তাদের আগত বর্ডারদের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে সহযোগিতা করেন, তাহলে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং হোটেল ব্যবসাও আরও সমৃদ্ধ হবে। এ সময় তিনি “জিনিয়া অ্যাপস”-এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, সিলেট নগরবাসী যেকোনো বিপদের সময় এই অ্যাপসের মাধ্যমে এক ক্লিকেই পুলিশের সাহায্য চাইতে পারবেন, যা আধুনিক ও নিরাপদ শহর গড়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। হোটেল মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেনঃ প্রতিটি হোটেলের রিসিপশন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কার্যকর সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। বর্ডারদের সঠিক পরিচয় যাচাই করতে হবে। এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন যাচাই করে রুম বরাদ্দ দিতে হবে। যদি কোনো আগত অতিথির পরিচয়পত্র না থাকে, তবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সাপেক্ষে রুম বরাদ্দ দেয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিটি হোটেলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) স্থাপন এবং তার মেয়াদ নিয়মিত পরীক্ষা করার নির্দেশনা দেন। তিনি আরো বলেন সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় কিছু হোটেলে অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, যা যুবসমাজকে বিপথগামী করছে এবং শহরের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। এই ধরণের কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করতে পুলিশ প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। সামান্য লাভের আশায় অপরাধীদের আশ্রয় না দিয়ে, আইন মেনে পরিচালনা করলে শহরের পরিবেশ সুন্দর থাকবে এবং হোটেল ব্যবসাও লাভবান হবে। আমরা সকলের সহযোগিতায় সিলেটকে একটি নিরাপদ ও সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। নিরাপদ ও সুন্দর শহর গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। উক্ত সভায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও আবাসিক হোটেল মালিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।