
পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ মিজানুর রহমান (মিজান) আবু হাসাদ কামাল পুঠিয়া রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমারিয়া ইউনিয়নের কার্তিকপাড়া বাজারে গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে দুই তলা বিশিষ্ট একটি মার্কেট নির্মাণ করেন উপজেলা এল জি ইডি । হস্তান্ত না হওয়ায় মাসের পর মাস পর থেকে এখন গণ টয়লেট ও মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। উপজেলা এল জি ইডি সূত্রে জানা যায়,গত ২০১৯-২০২০ ইং অর্থবছরে (CRMIDP) প্রকল্পর অধীনে ২ কোটি ৪৯ লক্ষ ৫২ হাজার ১০৬ ব্যয়ে নির্মিত হয় কার্তিকপাড়া বাজারে দুই তলা বিশিষ্ট একটি মার্কেট। মার্কেটের কাজ শেষ হয়ে গেলেও একাধিকবার হস্তান্ত করার চেষ্টা করলেও হস্তান্তর হয়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়িকরা জানান, এই ভবনের কাজ অনেকদিন হলো শেষ হলেও এখনো হস্তান্তর করা না হওয়ায় আমরা ভাড়া নিতে পারছি না এবং মার্কেটে চালু করতে পারতেছি না। রাত হলে এই স্থানে মাদক সেবনের আড্ডায় পরিণত হয়। এছাড়াও আপনারা দেখবেন এই ভবনের ভিতরে বিভিন্ন স্থানে গণহারে মানুষ টয়লেট করায় এটি এখন গণটয়লেটে রূপান্তরিত হয়েছে। এছাড়াও ভাড়া না নিয়ে দখল করে তৈরি হয়েছে একটি বাজার কমিটির অফিস। যা সাধারন মানুষের মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। আমরা ব্যবসায়ীরা চাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বিল্ডিং এর ঘর গুলো সরকারি নিয়ম-নীতির মাধ্যমে ভাড়া দিয়ে ব্যবসায়িকদের ব্যবসা করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। কার্তিকপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আলিম প্রাং বলেন, আমি দীর্ঘদিন পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেছি আমাদের এই বাজারে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সরকারি নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে ব্যবসায়িদের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করে বাজারে উন্নয়ন করার জন্য।
তিনি আমাকে জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত ভবনের জন্য কোন প্রকার আদেশ আমাদের কাছে আসেনি সেজন্য এই বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না। তবে আমি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে জেলায় কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করব। একটি ঘর দখল করে অফিস করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, আমরা স্থানীয় একটি ঘর ব্যবহার করি তবে যখন সরকারী নিয়ম অনুসারে ঘর গুলো ভাড়া দেওয়া হবে আমরা একটি ঘর তখন ভাড়া চাইবো। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হাসিব হোসেন জানান, ভবনে কাজটি ২০২৩ সালে শেষ নাগাদ আমাদের সম্পন্ন হয়েছে।
এরপর থেকে আমরা বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে একাধিকবার যে কাজটি হস্তান্তরের চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত কাজটি হস্তান্তর না হওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। যত দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বিল্ডিংটি হস্তান্তর হয় তাতে আমাদের জন্য মঙ্গল। পুঠিয়া উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান বলেন, আমাদের অফিস থেকে অনেক দিন পূর্বে নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করেছি বিল্ডিং এর কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে এ বিষয়ে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) জেলা নিবার্হী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, সর্বশেষ কার্তিক পাড়া ভবনের কাজ শেষ হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমি দুই এক দিনের মধ্যে এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।